মো: ওয়াসিম হোসেন:
ঢাকার ধামরাইয়ের সূতিপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকার পরাজয় একটি দুঃখ জনক বিষয়। নেতাকর্মী থাকার পরও কেন নৌকা বিজয় লাভ করতে পারে নি তার কিছু কারণ রয়েছে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা চেয়ারম্যান বাদ দিয়ে মেম্বার প্রার্থীদের নিয়ে বেশি ব্যস্ত ছিল। ভোট কেন্দ্রে নৌকার ব্যাচ পড়া আওয়ামী লীগের কোন নেতাকর্মী ছিল না। ২৩ জুন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ও ২৫ জুন পদ্মা সেতুর শুভ উদ্বোধন উপলক্ষে ঢাকার ধামরাইয়ে যৌথ সভায় এমন মন্তব্য করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব বেনজীর আহমদ ।
সোমবার ( ২০ জুন) সকালে পৌরসভার ঢুলিভিটা বাসস্ট্যান্ডের পাশে সিটি সেন্টারে এই যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সাংসদ এম এ মালেক এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব বেনজীর আহমদ।
বক্তারা বলেন, ২৫ জুন পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যাওয়া কষ্টকর হবে। তাই উপজেলার পরিষদ চত্বরে পদ্মা সেতুর উদ্বোধনে আনন্দ মিছিল বের করা হবে। ধামরাইবাসী চিরস্মরণীয় করে রাখবে দিনটিকে। পৃথিবীর কয়েকটি সেতুর মধ্যে পদ্মা সেতু একটি।বাংলাদেশ বিশ্বের কাছে একটি অবিস্বরনী কাজ করে দেখালেন। আর এই কাজ সম্ভব হয়েছে একমাত্র আওয়ামী লীগ সরকারের জন্য। অন্য কারও পক্ষে করা সম্ভব নয়।
তবে সানোড়া ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য আলাউদ্দিন বলেন, আমরা দিনরাত পরিশ্রম করি আর নেতারা টাকার কাছে বিক্রি হয়েছিল বলে নৌকার ভরাডুবি হয়েছে। তিনি আরো কথা বলতে চাইলে মঞ্চে উপবিষ্ট নেতারা তাকে থামিয়ে দেন।
অনুষ্ঠানে নেতাকর্মীরা সূতিপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন নিয়ে কথা তুলেন অনেকেই। নেতাকর্মীদের সমন্বয়ের অভাবে নৌকার বিজয় লাভ সম্ভব হয় নি বলে মনে করেন নেতারা।
তবে আগামী জাতীয় নির্বাচনে সকলকে একত্রিত হয়ে কাজ করার আহবান জানান বর্তমান ও সাবেক সংসদ সদস্য।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাদ্দেস হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান সিরাজ উদ্দিন, পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব গোলাম কবির, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন সাকুসহ সকল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও পৌরসভার কাউন্সিলরবৃন্দ।
