মো: ওয়াসিম হোসেন:
ঢাকার ধামরাইয়ে প্রয়াত সাবেক এক পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রীর শয়ন কক্ষ থেকে আপত্তিকর অবস্থায় তরুণীসহ এক স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে আটক করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে এলাকাবাসী।
আটককৃত স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আলাল হোসেন সজীব উপজেলা সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক বলে পরিচয় পাওয়া যায়। সে উপজেলার কুশুরা ইউনিয়নের টোপের বাড়ি এলাকার আওলাদ হোসেনের ছেলে। আলাল হোসেন সজীব বিভিন্ন সময়ে জিম্মি করে একাধিক বিয়ে করেছে বলে জানা যায়।
মঙ্গলবার রাতে ধামরাই পৌরশহরের মডেল টাউনের প্রয়াত উপ পুলিশ পরিদর্শক দবির উদ্দিনের স্ত্রীর শোবার ঘর থেকে ওই স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে স্থানীয়রা প্রথমে আটক করে গণধুলাই দিয়ে পরে পুলিশে সুপর্দ করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে জানা যায়, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আলাল হোসেন সজীব মাঝে মধ্যেই বিভিন্ন বয়সী নারীদের নিয়ে পৌর শহরের মডেল টাউনের এ বাড়িতে এসে আড্ডা জমান এবং মদ খেয়ে আনন্দ ফূর্তি করে থাকে। তার কাছ থেকে একটি ভিজিটিং কার্ড পাওয়া যায়। সেখানে সে নিজেকে বাংলাদেশ ছাত্র লীগের ধামরাই উপজেলার সিনিয়র সহ সভাপতি, ধামরাই, কুশুরা উল্লেখ রয়েছে।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী নারীর পিতা নুর হোসেন বাদি হয়ে আলালের বিরুদ্ধে ধর্ষণের চেষ্টায় নারী ও শিশু দমন আইনে ৯/৪(খ) ধারায় একটি মামলা হয়।মামলা নং ২৩।
জানা যায়, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আলাল ভুক্তভোগী নারীকে বাসা ভাড়া নিয়ে দেওয়ার কথা বলে পৌর শহরের মডেল টাওনের ঔই বাড়িতে এনে ধর্ষনের চেষ্টা করেন। পরে ভুক্তভোগী নারীর ডাক চিৎকারে এলাকাবাসী এসে ঔই নারীকে উদ্ধার করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশের কাছেহস্তান্তর করেন। আলাল প্রায়ই ঔই বাড়িতে নারী নিয়ে এসে মাদক সেবন করেন বলে জানা যায় এবং মদের বোতল হাতে একটি ভিডিও যোগাযোগ মাধ্যমেও পাওয়া যায়।
আলাল হোসেন সজীব নিজেকে একজন গণমাধ্যম কর্মী বলে নিজেকে পরিচয় দেয়, তার ফেইসবুক আইডিতে দেখা যায়, সে দৈনিক বাংলাদেশের আলো, দৈনিক বাংলা বার্তা ও দৈনিক পর্যবেক্ষন পত্রিকায় কাজ করেন। তবে মাঠে ঘাটে তাকে কখনো সংবাদ সংগ্রহ করতে দেখা যায় নি। সে কোথাও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা আবার কোথাও সাংবাদিক পরিচয় দিতেন।
এ ঘটনায় আলাল হোসেন সজীবের সুজুগি জিকজার ১১-৭৩১৬ নম্বরের একটি মোটরসাইকেল জব্দ করেন পুলিশ ।
তবে বাড়ির মালিক প্রয়াত পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রী এ বিষয়ে কোন কথা বলেন নি।
ধামরাই উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ইউসুফ আলী বলেন, আলাল হোসেন সজীব বর্তমানে স্বেচ্ছাসেবক লীগের কোন পদে নেই। তবে পূর্বের কমিটিতে সে পদে ছিল।
এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে উপ-পুলিশ পরিদর্শক মো. শিমুল মোল্লা বলেন,এলাকাবাসী ওই স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। তার নামে একটি ধর্ষণ মামলা হয়েছে। আজ সকালে আসামী আলাল হোসেন সজীবকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। সাথে থাকা মোটরসাইকেলটি থানা নিয়ে আসা হয়েছে।উপযুক্ত গাড়ির কাগজপত্র দেখাতে পারলে গাড়ি নিতে পারবে। তবে কোন রিমান্ড চাওয়া হয় নি বলে জানান পুলিশের ঔই কর্মকর্তা।
