ধামরাইয়ে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনায় অবৈধ বিদুৎ লাইন বিছিন্ন

মো: ওয়া‌সিম হো‌সেন:
ঢাকার ধামরাই পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের ইসলাম পুর এলাকার কয়েকটি বাড়ীতে অবৈধ বিদ্যুৎতের লাইন বিছিন্ন করেছে ঢাকা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ৩এর ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার(ডি জি এম) আল মাহামুদ ফয়সাল। এই সময় উপস্থিত ছিলেন ধামরাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার(ইউএনও) নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট হোসাইন মোহাম্মদ হাই জকি। অবৈধ বিদ্যুতের সংযোগ দিয়ে সরকারের লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আজ বুধবার (৭ডিসেম্বর) দুপুরে পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের ইসলামপুর এলাকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিত্বে অবৈধ বিদ্যুৎতের লাইন বিছিন্ন করা হয়। ইসলামপুর এলাকার মোঃ কালাম ইলেকট্রিশিয়ান এর সংবদ্ধ একটি চক্র এই অবৈধ বিদ্যুৎতের লাইন দিয়ে থাকেন।
এই বিষয়ে স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, ইসলামপুর এলাকার মোঃ পাভেল খানের বাড়ীর ভাড়াটিয়া ইলেকট্রিশিয়ান মোঃ কালাম তার একটি চক্রের মাধ্যমে এলাকার বিভিন্ন বাসাবাড়ীতে রাতের অন্ধ্যকারে গোপনে ডপ তারের মাধ্যমে অবৈধ বিদ্যুৎতের সংযোগ দিয়ে মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে কালাম ইলেকট্রিশিয়ান। তারা ডিসের তারের মত তার ব্যবহার করে বিদ্যুতের খুটি থেকে সরাসরি মিটারে সংযোগ দিয়ে বিদ্যুৎ ব্যবহার করে আসছেন। এতে যে কেউ দেখে বুঝবে এটা ডিসের লাইন।
এই বিষয়ে বাড়ীর মালিক মোঃ পাভেল খান বলেন, আমার বাড়ীতে কালাম ভাড়া থাকে। তবে কি ভাবে এই অবৈধ লাইন দিয়েছে আমি এর কিছুই জানি না।
এই বিষয়ে ঢাকা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ৩ এর ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডি জি এম) আল মাহামুদ ফয়সাল জানান, আমরা গোপন সংবাদের ভিত্তিত্বে জানতে পারি পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের ইসলামপুর এলাকায় অবৈধ ভাবে বিদ্যুৎতের সংযোগ নিয়ে ব্যবহার করছে। সেই সংবাদের ভিত্তিত্বে আজ দুপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট হোসাইন মোহাম্মদ হাই জকি স্যারকে সাথে নিয়ে অভিযান পরিচালনা করে ১৫টি মিটারের অবৈধ বিদ্যুৎতের সংযোগ বিছিন্ন করা হয়েছে।
এই বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট হোসাইন মোহাম্মদ হাই জকি বলেন, ইসরামপুর এলাকায় অবৈধ বিদ্যুৎ ব্যবহার করেছে এমন ১৫টি সংযোগ বিছিন্ন করা হয়েছে। অধিকাংশ বাসায় ভাড়াটিয়ারা থাকেন। তারা বলছে আমরা অবৈধ বিদ্যুৎতের বিষয়ে আমরা কিছু জানি না। সেই জন্য তাদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্টের আওতাই আনা সম্ভব হয়নি। তবে বিদ্যুৎ বিভাগের নিতিমালা অনুযায়ী পেনান্টিক বিল করা হবে। তারা যখন এই বিল পরিশোধ করবে তখন তাদের পূর্ণরায় সংযোগ দেওয়া হবে। এছাড়া তাদের কাছ থেকে একটি মুছলেখা নেওয়া হবে। পরবর্তিতে যদি তারা এই কাজ করে তাহলে মোরাইল কোর্ট পরিচালা করে তাদের আইনের আওতাই আনা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*