মো: ওয়াসিম হোসেন:
আজ ধামরাই হানাদার মুক্ত দিবস। ১৯৭১সালের এদিনে ধামরাই হানাদার মুক্ত হয়। ধামরাইয়ের কমান্ডার বর্তমান ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বেনজীর আহমদের নেতৃত্বে কুশুরার ঢালিপাড়া ক্যাম্প থেকে মুক্তিযোদ্ধারা পাকিস্তানি সেনাদের বিতাড়িত করে এবং উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন।
সেদিন ধামরাই উপজেলার কালামপুর বংশী নদীর পাড়ে পাক হানাদাররা ১৭জন নিরীহ মানুষকে ধরে নিয়ে লাইনে দাঁড় করিয়ে ব্রাশ ফায়ার করে হত্যা করে। সে খানে গণকবর স্থাপন হয়। ধামরাইয়ের বৈন্যা ও বালিয়া গ্রামে পাকসেনাদের সঙ্গে এক সম্মুখযুদ্ধে ১১ জন পাকসেনাকে হত্যা করে মুক্তিযোদ্ধারা। এ সময় পাকবাহিনীর গুলিতে ধামরাইয়ের মেছেরআলী,ওয়াহেদ আলী ও আবুল হোসেনসহ অনেকে শহীদ হন।ওই দিনই পাকিস্তানি সেনারা ক্যাম্প ছেড়ে চলে গেলে চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়। শত্রুমুক্ত হয় ধামরাই।
দিবসটি উপলক্ষে প্রতি বছরের ন্যায় এবার ১৩ডিসেম্বর ধামরাই মুন্নু কমিনিটি সেন্টারে জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত আলোচনা সভায় ধামরাই উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার,বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহমান খান এর সভাপতিত্বে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্হানীয় সংসদ সদস্য,ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব বেনজির আহমদ।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব এম.এ.মালেক। সাবেক রাষ্ট্রদূত ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা সোহরাব হোসেন, ধামরাই পৌর মেয়র, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব গোলাম কবির মোল্লা। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন ধামরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সাখাওয়াত হোসেন সাকু।ধামরাই উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও সুশীল সমাজের লোকজন।
