স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের যোগ্যতা অর্জনের পর, বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ ঘটলে যে চ্যালেঞ্জগুলো সামনে আসবে, সেজন্য এখনই প্রস্তুতি নিতে হবে।
বিশ্ব ব্যাংক নিম্ন আয়ের দেশ থেকে নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশে তোলার পর জাতিসংঘের মাপকাঠিতেও উত্তরণ ঘটছে বাংলাদেশের।
১৯৭৫ সাল থেকে স্বল্পোন্নত দেশের অন্তর্ভুক্ত বাংলাদেশ মাথাপিছু আয়, মানব সম্পদ সূচক ও অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা সূচক (ইভিআই) এই তিন শর্ত পূরণ করে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উঠতে যাচ্ছে।
আগামী বছরগুলোতে পর্যবেক্ষণে থাকার পর অবস্থা অপরিবর্তিত থাকলে ২০২৪ সালে উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় নাম উঠবে বাংলাদেশের।
স্বল্পোন্নত দেশ হলে বিভিন্ন সংস্থার সহজ শর্তে ঋণ এবং রপ্তানি পণ্যে বিশেষ সুবিধা আর থাকবে না। তবে বিনিয়োগ বাড়ানোসহ নানাভাবে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার সুযোগ রয়েছে। এখন থেকেই সেই প্রস্তুতি নেওয়ার সময় সামনের প্রস্তুতি নেওয়ার।
বিনিয়োগ বাড়াতে সরকারি সেবা আরও সহজ করা ও আমলাতান্ত্রিক অদক্ষতা দূর করতে সংস্কার চালানো উচিৎ। কারন অামলারা সেবা দেওয়ার চেয়ে তারা কর্তৃত্ব করতে বেশি পছন্দ করেন। এই অবস্থাটা বদলাতে হবে।
গত এক দশক ধরে উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৭ শতাংশ থাকলেও রাজনৈতিক কলহ না থাকলে তা দুই অঙ্কে কোঠায় নেওয়া যেত। প্রবৃদ্ধিকে চাইলে আমরা দুই অঙ্কে নিতে পারি। আমরা যদি আমাদের মধ্যে কলহ না করতাম, যার যেটা ভূমিকা পালন করতাম, তাহলে প্রবৃদ্ধির হার বেশি হতে পারত।
মোহাম্মদ সোহেল রানা খান
সম্পাদক ও প্রকাশক
প্রতিদিন বাংলাদেশ