প্রতিদিন বাংলাদেশ, ঢাকা:
করোনা ভাইরাস মহামারির পরিপ্রেক্ষিতে কওমি মাদ্রাসা ছাড়া দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। ১৪ ফেব্রুয়ারির পর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এই চলমান ছুটি আরও এক দফা বাড়ানো হবে। ইতোপূর্বে ঘোষিত এই ছুটি রবিবার শেষ হচ্ছে। করোনা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ এবং শিক্ষার্থীদের সুরক্ষার লক্ষ্যে ছুটি বাড়ানো হচ্ছে বলে শিক্ষা এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়ানোর বিষয়ে রবিবার সকালে ঘোষণা আসতে পার বলে জানিয়েছেন মন্ত্রণালয়টির জনসংযোগ কর্মকর্তা।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন, বিদ্যমান পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদেরকে আমরা ন্যূনতম ঝুঁকির মধ্যে ফেলতে চাই না। সে কারণে হয়তো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এখনই খুলে দেওয়া হচ্ছে না। ছুটি বাড়তে পারে।
এদিকে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এসএসসি ও এইচএসসি বা পিইসি ও জেএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার ব্যাপারে আলাদা কোনো পদক্ষেপ থাকছে না। সবার জন্যই একই সময়ে খুলে দেওয়া হবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। তাদের মধ্যে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য যে বিশেষায়িত সিলেবাস দেওয়া হয়েছে সেটা অনুযায়ী লেখাপড়া চালিয়ে নেওয়ার পরামর্শ থাকবে। বিষয়টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশে গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হওয়ার পর গত ১৭ মার্চ থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ রয়েছে। বেশ কয়েক ধাপে বাড়ানোর পর সেই ছুটি ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত করা হয়েছিল
তবে দেশে এখনও মহামারির প্রকোপ না কমায় ছুটি বাড়ানো হতে পারে। অবশ্য করোনার কারণে ফেব্রুয়ারি মাস দেখে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা হবে কিনা, তা আগেই জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
করোনা মহামারির কারণে এবার প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি সমাপনী, অষ্টমের সমাপনী ছাড়াও এইচএসসির পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। জেএসসি ও এসএসসির ফলের ভিত্তিতে এইচএসসির ফল প্রকাশ হলেও প্রাথমিকের অন্য শ্রেণিগুলোয় পরীক্ষা ছাড়া পরবর্তী ক্লাসে তুলে দেওয়া হচ্ছে।
আর মাধ্যমিকের ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত অ্যাসাইনমেন্ট দিয়ে মূল্যায়ন করা হচ্ছে শিক্ষার্থীদের।
অন্যদিকে উচ্চশিক্ষা স্তরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অনার্স ও মাস্টার্সের চূড়ান্ত পরীক্ষা নিতে অনুমতি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।
