ঈদের ছুটিতে কর্মস্থলে থাকা বাধ্যতামূলক : মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ

প্রতি‌দিন বাংলা‌দেশ, ঢাকা:
করোনা ভাইরাস মহামারির মধ্যে সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, বেসরকারি অফিস এবং ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা কর্মচারীদের ঈদের ছুটিতে বাধ্যতা মূলক ভাবে কর্মস্থলে থাকতে হবে।
চলমান লকডাউনের মেয়াদ ১৬ মে পর্যন্ত বাড়ানোর প্রজ্ঞাপনে এ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। বুধবার (৫ মে) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এই প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
এতে বলা হয়েছে, সকল সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিস এবং ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা কর্মচারীরা ঈদের ছুটিতে আবশ্যিক ভাবে নিজ নিজ কর্মস্থলে (অধিক্ষেত্রে) অবস্থান করবেন।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৩ বা ১৪ মে দেশে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে।
আগামী ১২ মে (বুধবার) থেকে শুরু হচ্ছে ঈদের ছুটি। রমজান মাস যদি ২৯ দিনে শেষ হয় তবে ঈদুল ফিতর হবে ১৩ মে। এক্ষেত্রে ১৩ ও ১৪ মেও (বৃহস্পতি ও শুক্রবার) ঈদের ছুটি থাকবে। তবে রমজান মাসের ৩০ দিন পূর্ণ হলে ঈদের ছুটি আরও একদিন বাড়বে, সেক্ষেত্রে ১৫ মেও (শনিবার) ছুটি থাকবে।
গত সোমবার (৩ মে) সচিবালয়ে মন্ত্রিসভা বৈঠকের পর প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, সরকারি বেসরকারি যেগুলো যেভাবে আছে সেভাবেই থাকবে। এর কোন নড়চড় হবে না। আসন্ন ঈদুল ফিতরের সময় শিল্প কারখানায় ৩ দিনের বেশি ছুটি দেওয়া যাবে না। করোনা সংক্রমণ রোধে চলমান লকডাউনের (বিধিনিষেধ) মেয়াদ আগামী ১৬ মে পর্যন্ত বাড়ানো হবে। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৩ বা ১৪ মে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে।
উল্লেখ্য, কোভিড ১৯ সংক্রমণ রোধে গত ১৪ এপ্রিল ভোর ৬টা থেকে ৮ দিনের কঠোর লকডাউন শুরু হয়। লকডাউনের মধ্যে পালনের জন্য ১৩টি নির্দেশনা দেওয়া হয় সরকারের পক্ষ থেকে। পরে ৭ দিন করে ২ দফা লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানো হয়। সেই মেয়াদ শেষ হবে আগামী ৫ মে (বুধবার) মধ্য রাতে। ৬ মে ভোর ৬টা থেকে আবারও লকডাউন শুরু হবে, চলবে ১৬ মে রবিবার মধ্যরাত পর্যন্ত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*